ধ্রুবপুত্র (পর্ব বত্রিশ) : অমর মিত্র


প্রকাশিত:
১১ মার্চ ২০২১ ১৮:৩০

আপডেট:
১১ মার্চ ২০২১ ১৯:৫১

ছবিঃ অমর মিত্র

 

সুভগদত্ত বললেন, নগর ছারখার হয়ে যাক, এ দেশ জ্বলে পুড়ে যাক।
মহাকালের অভিপ্রায় যদি তাই হয় হবে। প্রধান পুরোহিত বললেন।
আমি বাণিজ্যে যাব, কিন্তু তার আগে সিংহাসন নিষ্কণ্টক হোক।
শ্ৰেষ্ঠী তো সিংহাসন যাঞা করেন না। প্রধান পুরোহিত হাসলেন।
রাজা যদি সিংহাসন থেকে নেমে যান, ওই মেয়েমানুষটার সমস্ত গুমর ভাঙবে, গণিকা দেবদত্তাকে সঙ্গে নিয়েই যাব আমি ।
শান্ত হন, আপনি এ দেশের শ্রেষ্ঠ ধনবান মানুষ, সামান্য গণিকার অবহেলায় উন্মাদ হলেন।
সুভগদত্ত বললেন, আমার শ্রেষ্ঠত্ব ধুলোয় লুটিয়ে গেছে, আমার দেওয়া অলঙ্কার সে চতুরিকা নামের  এক কুরূপা বারাঙ্গনাকে দান করেছে।
প্রধান পুরোহিত বললেন, আপনি খোঁজ নিয়েছেন?
নিয়েছি।
মহাকালের কি এই অভিপ্রায়?

সুভগ দত্ত পাথুরে মেঝেতে পদাঘাত করলেন। ক্রোধে তার সর্বশরীর কাঁপছিল। তিনি রাজসত্রী উদ্ধবকে দিয়েই খবর এনেছেন। তারপর নিজে গিয়েছিলেন দেবদত্তার গৃহে। সেখানেই ডেকেছিলেন চতুরিকাকে। চতুরিকা সমস্তটা স্বীকার করে শ্রেষ্ঠীর পায়ে মাথা রেখেছিল উদ্ধবের আদেশে। দেবদত্তা ছিল নিশ্চুপ। এতই নিশ্চুপ তার শ্বাসপ্রশ্বাসও যেন বইছিল না। চোখের পাতাও যেন পড়ছিল না। কী অহঙ্কার! কোনো কথার জবাবই দিল না ভালো  করে। ওই অহঙ্কার ভাঙতে পারে রাজার সিংহাসন টলে গেলে। কী সাহস তার, ধীরে ধীরে বলেই দিল, রাজা ব্যতীত কারোর কাছ থেকে কিছুই গ্রহণ করতে চায় না সে, তার মা রসমঞ্জরীর শিক্ষা তাই।

প্রধান পুরোহিত বললেন, একটা মেয়েমানুষের জন্য রাজার সিংহাসন যাবে?
যাবে, না গেলে আমি কেন শ্রেষ্ঠ?
তবুও তো মেয়েমানুষই বটে, শ্রেষ্ঠী যদি চান কত মেয়েমানুষ পেতে পারেন, মেয়েমানুষ কি অলভ্য হয়েছে অবন্তীদেশে?
রাজা তো ধর্ষক, দেবদাসীকে সম্ভোগ করেছেন মন্দিরে, সিংহাসন যাবে তো সেইজন্যও, গণিকা দেবদত্তা বসে আছে রাজার জন্য, আর রাজা ভোগ করে যাচ্ছেন দেবদাসী ললিতাকে।
সামান্য দেবদাসীর জন্য সিংহাসন যাবে? বৃদ্ধ পুরোহিত জিজ্ঞেস করলেন।
যাবে, যাবে, যাবে।
এতে সামান্য নারী, ভোগের মেয়েমানুষ বড় হয়ে উঠবে কিনা?
থমকে গেলেন সুভগ দত্ত, অবাক হয়ে তাকালেন বৃদ্ধ পুরোহিতের দিকে, কী বলতে চায় চতুর ওই ব্রাহ্মণ? তাহলে কি রাজার সঙ্গে গোপন সন্ধি হয়ে গেছে ওর? ঘামছেন শ্ৰেষ্ঠী। কী বলবেন ঠিক করতে পারছেন না। তখন প্রধান পুরোহিত হাসলেন, বললেন, মেয়েমানুষ ভোগ্যা। তা সে শূদ্রানী হোক আর ব্রাহ্মণী হোক, এ ব্যাপারে আমার দ্বিমত নেই, আপনি কি অন্যমত পোষণ করেন?
না, কিন্তু আমি তো বলছি অন্য কথা।
দেবদত্তাকে বলপূর্বক নিজগৃহে নিয়ে যান, বলপ্রয়োগ করুন।
তা কী করে হয় প্রধান গণিকা, রাজ-অনুরাগিনী।
হাসলেন প্রধান পুরোহিত। ভোঁতা, রক্তাভ, দন্তহীন মাড়ি দেখা গেল, বললেন, রাজা তো তার অনুরাগী নন, রাজা তো দেবদাসী নষ্ট করে বেড়ান, নিম্ন রুচির মানুষ, রানী ও রাজার অনুরাগিনী নন, এখবর আমার জানা, নগরে ঢি ঢি পড়ে গেছে তাও কি জানা নেই আপনার রাজা রানী দু’জনেই নিন্দিত হচ্ছেন নগরে।
সেনাপতি জানেন?
বিক্রম? কেন জানবেন না?
রানী ভানুমতী সম্পর্কে যা রটেছে তা জানেন? বিক্রম আর ভানুমতীর সম্পর্ক তো আর লুকোন নেই।
হ্যাঁ তাতে তাঁর কী, তিনি তো পুরুষমানুষ, কলঙ্ক তাকে ছোঁয় না।
শ্রেষ্ঠী বললেন, কিন্তু এতে তো রাজা তার সিংহাসন ত্যাগ করবেন না।
বৃদ্ধ পুরোহিত বললেন, দেশে অনাবৃষ্টি, ফসল নেই, অনাচার চলছে, তার ভিতরে আরো অনাচার, বিশৃঙ্খলা হোক, রাজা দিশাহারা হয়ে যাবেন।
বিক্রম কী বলেন? জিজ্ঞেস করলেন শ্ৰেষ্ঠী।

আপনি কথা বলে নেবেন, দেখুন রানী সম্পর্কে রটনায় তাঁর দ্বিধা ছিল, কিন্তু আমি বলেছি লক্ষ্য তো সিংহাসন। সিংহাসনের দিকে যাওয়ার পথ নিরঙ্কুশ করতে রানীকেও পথে নামাতে হবে। আর রানী  ভানুমতী বা তাঁর কে? ভ্রাতৃবধূ, অনাচারী তো নিশ্চয়, না হলে স্বামী সঙ্গ ত্যাগ করে দেবরের সঙ্গে সম্পর্ক পাতান তিনি? তিনি একটি মেয়েমানুষ তো বটে, মেয়েমানুষের দাসীই বা কী রানীই বা কী।

বৃদ্ধ পুরোহিতের দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছেন শ্ৰেষ্ঠী। যে পরিকল্পনা তাঁর নিজের মাথায় এসেছিল তা রূপায়ণের দায় যেন প্রধান পুরোহিতেরই। কিন্তু রাজার সিংহাসন গেলে গণিকা দেবদত্তা তাঁর  অধিকারে আসবে তো? তাঁর মনে এক সন্দেহও আছে রাজার কলঙ্ক, রানীর কলঙ্ক কি সেনাপতির সিংহাসন দখলের পথ প্রশস্ত করবে? কতটা করবে?

বৃদ্ধ পুরোহিত যেন তাঁর মনের কথা ধরে ফেললেন। বললেন, দেশ ক্রমশ অনাচারে ভরে যাচ্ছে, এসব হচ্ছে রাজার পাপে, আপনি শূদ্রপল্লীতে আগুন লাগান।
কী বলছেন?
হ্যাঁ, এসবও করতে হবে, রসালো অনাচারের কাহিনী তো মানুষকে বিদ্রোহী করে তুলবে না, সেনাবাহিনীর শক্তিই তো শূদ্রজাতি।
শ্ৰেষ্ঠী বললেন, ওরা কী দোষ করল?
আপনি কি চান প্রধান গণিকা আপনার দখলে আসুক?
চাই।
রাজা বদল হোক অবন্তীদেশে?
শ্ৰেষ্ঠী বললেন, বারবার একই কথা বলছেন কেন, রাজার কানে চলে যাবে, কোথায় কে আছে শুনে  নেওয়ার জন্য, দেওয়ালেরও কান আছে।
বৃদ্ধ হাসলেন, সেনাপতির সঙ্গে সব কথা হয়েছে আমার।
তবু, এখনো তো ভর্তৃহরিই এদেশের রাজা।

আহ্! বিরক্ত হলেন পুরোহিত, আপনিই তো এসে বললেন জ্বলে যাক অবন্তী দেশ, পুড়ে ছারখার হোক, আপনি আপনার দাসকে পাঠান অগ্নিসংযোগ করতে, কোনো সরোবরে জল নেই, নিরাশ্রয় শূদ্রজাতির পাশে দাঁড়াবেন তখন শ্রেষ্ঠী এবং সেনাপতি, আর কোনো ভয় থাকবে না।

শ্ৰেষ্ঠী বুঝলেন, এই বৃদ্ধ মন্ত্রণায় শ্রেষ্ঠ। মহাকাল মন্দিরের পরিবর্তে এর অধিষ্ঠান হওয়া উচিত ছিল রাজসভায়। উদ্বেগে, অপমানে, ব্যর্থতায়, গণিকার অবহেলার জ্বালায় শ্রেষ্ঠী নিজে দিশাহারা হয়ে ঘুরছেন এখন। এসেছিলেন অগ্নিকুণ্ড হয়ে, এখন সে আগুনের তেজ আচমকা নিভেই গেছে যেন। শূদ্রপল্লী তাঁর চোখের সামনে ভেসে উঠল। আগুনের একটি ফুলকি সব ছাই করে দেবে এমন ঘন সন্নিবদ্ধ ওই পল্লীর গৃহগুলি। জল নেই সরোবরে। কূপের জল প্রায় অন্তর্হিত। কী করে নেভাবে আগুন? মানুষ, পশু সব একসঙ্গে মরবে যে।
প্রধান পুরোহিত বললেন, যত মরবে তার চেয়ে অনেক অনেক বেশি বেঁচে থাকবে।
অকারণে প্রাণ নেব?
বিরক্ত হলেন বৃদ্ধ, অকারণ কেন হবে, রাজা ভর্তৃহরিকে সিংহাসন থেকে নামাতে।
দুর্বল বোধ করছেন যেন শ্রেষ্ঠী সুভগ দত্ত। কাঁপছেন কি? কী যে হলো তার! দেবদত্তার প্রত্যাখ্যান তাঁর মনের সমস্ত জোর যেন শেষ করে দিয়েছে। আত্মবিশ্বাস আর নেই। তিনি বিড়বিড় করলেন, শুধু শুধু এতগুলো মানুষ আশ্রয়হীন হবে, কিছু মরবে?

প্রধান পুরোহিত নির্বিকার, উদাসীন গলায় বললেন, শূদ্র মনুষ্য নয়, পশুবধে যেমন পাপ নেই শূদ্র বধেও তাই, সিংহাসন দখলের জন্য সমস্ত পথই গ্রহণযোগ্য। আগুন লাগাবেন গোপনে, গভীর অন্ধকারে লোক পাঠাবেন, রাজা যেমন মহাকালের রূপ ধরে ভোগ করে গেছেন দেবদাসীকে, তেমনি মহাকাল হয়েই আগুন লাগাবে আপনার দাস, শূদ্রপল্লীর হাহাকার শোনা যাবে নগরের বাতাসে, রাজার পাপে প্রজার সর্বনাশ হবে, দিশাহারা হয়ে পড়বেন রাজা ভর্তৃহরি।

শ্রেষ্ঠী এতক্ষণে যেন ফিরে পাচ্ছেন নিজস্ব বিশ্বাস। ধীরে ধীরে তাঁর দেহের তাপও ফিরে আসছে। হ্যাঁ, এমনই তো হওয়ার দরকার। দিনমানে নগরের রাজপথে শৃগাল হেঁটে যাক, শকুন নেমে আসুক, লুটপাট হোক, গৃহস্থের স্ত্রী কন্যা অপহরণ করুক দুর্বৃত্ত, রাজকর্মচারী উৎকোচ গ্রহণ করে নির্দোষ ব্যক্তির উপর অত্যাচার করুক, আগুনে পুড়ে যাক শূদ্রপল্লী, তখন রাজা ভর্তৃহরির অবনমন ত্বরায় হবে, রাজার সিংহাসন গেলে গণিকা দেবদত্তা তাঁরই হবে, তার সমস্ত অহঙ্কার ধুলো হয়ে যাবে। শ্রেষ্ঠীর নিঃশ্বাস গরম হয়ে উঠল। ভিতরে কামভাব জেগে উঠল। চোখের সামনে দেবদত্তার দেহখানি ফুটে উঠল। বক্ষদেশ, নিতম্ব দেশ, সুচারু বাহু, ওষ্ঠাধর...। তিনি চাপা গর্জন করে ওঠেন, লাগবে আগুন।

পুরোহিত নির্বিকার, সে তো লাগবেই, আমার সঙ্গে কথা হয়েছে বিক্রম সেনাপতির, আগুন লাগুক,  পরের কাজ আমার, দৈববানী হবে নগরে।
শ্রেষ্ঠী বললেন, আপনার সেই দেবদাসী কোথায়, রাজার দ্বারা ধর্ষিতা?
সে এখন অন্ধকারে আছে।
অন্ধকারে কেন?
অশুচি হয়েছে, ঋতুমতী নারীতে আমার ঘেন্না লাগে।
সুভগদত্ত বললেন, সে গর্ভবতী হয়নি?
না তো, কেন?
রাজা তাকে সমস্ত রাত ধরে ভোগ করলেন, গর্ভবতী হয়নি কেন?
পুরোহিতের দুচোখ ঝিকিয়ে ওঠে, হলে কি ভাল হত?
হতোই তো, রাজপথে দাঁড় করিয়ে দিতাম গাভীন মেয়েমানুষটাকে, রাজার মান তখন কোথায় যেত, কোথায় মুখ লুকোতেন রাজা ভর্তৃহরি?
প্রধান পুরোহিত বললেন, একথা আগে বলেননি কেন?
কী বলব, আমি তো জানি তাইই হবে, গর্ভলক্ষণ ফুটে উঠলে তবে না তাকে জনসমক্ষে নিয়ে যাওয়া  হবে, এ কেমন হলো?

প্রধান পুরোহিত হাসলেন, আপনি যে শিশুর মতো কথা বলছেন, এতে প্রমাণ হলো রাজার সেই ক্ষমতা নেই, একজন অক্ষম পুরুষ বসে আছেন উজ্জয়িনীর সিংহাসনে, রাজার যদি সন্তান সৃজনের ক্ষমতা  না থাকে, ফসল হবে কেন, বৃষ্টিই নামবে কেন, রানী যতবার গর্ভবতী হবেন, ততবার সম্পদে ভরে  উঠবে দেশ, রাজা সিংহাসনে থাকতে আর বৃষ্টি হবে না এদেশে।
কে বলেছে একথা?
শাস্ত্রে লেখা আছে।
কিন্তু রাজা কি সত্যিই ভোগ করেছিলেন আপনার সেই দাসীকে?
আমার নয়, মহাকালের দাসী সে।
শ্ৰেষ্ঠী বললেন, অক্ষম নপুংসক রাজার তো সিংহাসনে থাকার অধিকার নেই।
নেই।
রাজা যে অক্ষম এই কথা তো নগর জানে, সন্তানহীনা হয়ে আছেন রানী।
প্রধান পুরোহিত বললেন, নগর জানে রানী অক্ষম।
ললিতার দ্বারা প্রমাণ হলো রাজা অক্ষম।
হ্যাঁ, বারবার একই কথা বলছেন কেন? বিরক্ত হলেন প্রধান পুরোহিত।
এই কথাটি গণিকা দেবদত্তার কানে পৌঁছবে না?
গণিকা যদি দেবমন্দিরে আসে আমার আশীর্বাদ নিতে, আমিই জানিয়ে দেব।
শ্ৰেষ্ঠী উত্তেজিত হয়েছেন, অক্ষম পুরুষের অনুরাগিনী হবে কেন রসমঞ্জরীর কন্যা, দ্বিজদেব কীভাবে কথাগুলো দেবদত্তার কাছে পৌঁছনো যায়?

প্রধান পুরোহিত চুপ করে থাকলেন। উত্তেজিত শ্ৰেষ্ঠী পায়চারী করছেন অপরিসর কক্ষটিতে। পুরোহিত অতীব ধূর্ত মানুষ। আগে পুরোহিতকে এতটা চিনতেন না শ্ৰেষ্ঠী। এখন মনে হচ্ছে নতজানু হয়ে থাকেন সব সময়। পুরোহিত একটু সময় নিলেন, তারপর বললেন, আপনার দেওয়া অলঙ্কার তো দেবদত্তা দান করে দিয়েছে গণিকা চতুরিকাকে।
হ্যাঁ, চতুরিকাই তো দিয়েছিল উদ্ধবনারায়ণকে।
নাকি অপহরণ করেছিল উদ্ধব?
হয়ত তাই।
চতুরিকাই পারে রাজার কথা গণিকা দেবদত্তার কানে পৌছে দিতে।
বাহ্! শ্রেষ্ঠী যেন সমাধান পেয়ে গেছেন। যেন চতুরিকা কথাটি পৌঁছে দিলেই দেবদত্তা তাঁর অধিকারে চলে আসবে। শ্রেষ্ঠীর বয়সটি বড় ভয়ঙ্কর, এই বয়সে আর অপেক্ষা করা যায় না। যৌবন অস্তগামী, ভোগের কাল সীমিত হয়ে আসছে। তাই ব্যর্থতা সহ্য হয় না। তিনি বললেন, আমি যাই।
যাবেন, কিন্তু দেবদত্তা যদি প্রশ্ন করে রাজা যে অক্ষম তার প্রমাণ?
প্রমাণ তো ললিতাদাসী।
আপনিই তো বললেন রাজা যে তাকে সত্যিকারের ভোগ করেছিল তারই বা প্রমাণ কী, এই প্রশ্ন যদি দেবদত্তা তোলে?
শ্ৰেষ্ঠী হাসলেন, রাজার কণ্ঠহার ললিতার গলায় ।
কিন্তু সে তো কত কারণে হয়।
তাহলে! বুক ধকধক করতে লাগল সুভগ দত্তর।
আপনি কি ভাবছেন রাজা অক্ষম এই কথাটি দেবদত্তা জেনে গেলেই সে আপনার অধিকারে চলে আসবে? প্রধান পুরোহিত জিজ্ঞেস করলেন।
আসবে, নপুংসকের কাছে কোন রমণী যেতে চায়?
হাসলেন প্রধান পুরোহিত, দেবদত্তার প্রেম তো এক তরফা, রাজা ভর্তৃহরির প্রেমের ক্ষমতাই নেই, প্রতিদান দিতে পারবেন না বলেই না দেবদত্তার কাছাকাছি হন না তিনি, দেবদাসীকে ভোগ করে ক্ষমতা জেনে নিতে চেয়েছিলেন।
তাহলে চতুরিকা জানাবে না?
জানাবে, কিন্তু তাতে লাভ বিশেষ হবে না আপনার নিজের, তবে কিনা রাজা নপুংসক তা রটে গেলে আমাদের পথ আরো মসৃণ হবে।
তাহলে আমি কী করব?
শূদ্রর ঘরে আগুন লাগান আগুন, আগুন। আগুন ছাড়া কোনো উপায় নেই, পুড়িয়ে দিন শূদ্রপল্লী, হা হা রবে ভরে যাক নগর...।
হাহাকার তাড়া করতে লাগল শ্ৰেষ্ঠী সুভগ দত্ত কে। তিনি এগোলেন।

চলবে

 

ধ্রুবপুত্র (পর্ব এক)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব দুই)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব তিন)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব চার)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব পাঁচ)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব ছয়)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব সাত)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব আট)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব নয়)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব দশ)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব এগার)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব বারো)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব তের)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব চৌদ্দ)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব পনের)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব ষোল)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব সতের)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব আঠারো)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব উনিশ)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব কুড়ি)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব একুশ)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব বাইশ)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব তেইশ)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব চব্বিশ)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব পঁচিশ)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব ছাব্বিশ)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব সাতাশ)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব আটাশ)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব উনত্রিশ)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব ত্রিশ)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব একত্রিশ)

 

এই লেখকের অন্যান্য লেখা



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top