জ্ঞানের পরিধি : আবু সাইফা
প্রকাশিত:
৫ জুন ২০২০ ০০:৩৬
আপডেট:
১৪ মার্চ ২০২৫ ১৮:২৩

কবিকে প্রশ্ন করি...
অমন নিবিষ্টমনে অনিমিখ চেয়ে চেয়ে কী পড়ো তুমি?
কবি বলে...
আমি পড়ি মানুষের মুখ আর মুখচ্ছবি
আমি পড়ি চোখের ধারালো বাণ
চোখের জ্বলন্ত ভাটা আর...
নোনাজলের প্রস্রবণ পড়ি মানুষের চোখের হ্রদে।
ক্ষুধাতুরের চোখের ধুঁয়া ওঠা ভাতের থালায় আটকে থাকা
চামারের একজোড়া চোখ কিভাবে খেলাকরে
পথচারির ময়লা জুতোয়!
চোখের লক্ষ্যভেদী শরাঘাতে ধরাশায়ী প্রেমিকের মন
আহত পাখির মতো ডানা ঝাপটায়
প্রজাপতির ভয়ঙ্কর সুন্দর পাখা কিভাবে বিবর্তিত হয় বিষাক্ত শুঁয়াপোকার সুক্ষ্ম দেয়াল পেরিয়ে।
আমি পড়ি...
শুষ্ক শস্যকণা, একটি মটরদানা অশ্বত্থের তিলসম বীজ
কীভাবে ধরে রাখে ফসলের ক্ষেত,অতিকায় মহীরুহ!
জাত্যাভিমানের রঙিন তোয়ালেমেোড়া নবজীবনের চিৎকার
আস্তাকুঁড়ে পড়ে থাকা
পরম মমতায় পড়ি ঘৃণাভরে!
দুইটি ডালের ফাঁকে পক্ষীশাবক আকর্ণ হাঁ করে খুশিতে শোরগোল করে মা পাখির উড়ে আসা দেখে
বৃক্ষ-তরুলতা, কন্দফসল
সশব্দে বেরিয়ে আসে পৃথিবীর জঠর ভেদি
কানপেতে শুনি আমি তাও...
আমি কেবলই পড়তে পারিনা
বিশ্বচরাচরে এতসব খেলা খেলে কোন্ সে বিরাট খেলোয়াড়
আমার বোধেরা এই সীমানায় এসে আছাড়খেয়ে পড়ে থাকে!
মনেহতে থাকে...
কিছুই হয়নি জানা
কিচ্ছু বুঝিনা, জ্ঞানের জগতে নতজানু ভিখারি আমি।
বিষয়: আবু সাইফা
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: