কবিতায় সমর্পণ : হাবিবা লাবনী


প্রকাশিত:
৯ জুলাই ২০২০ ২২:৩০

আপডেট:
২২ জুলাই ২০২০ ২৩:২০

 

এবার আমি ঠিক করেছি
কবিতাকে নোবেল পুরস্কার দিব।
কবিকে নয়, তবে কবিতার প্রেমিক কেও,
কেননা তুমি কবিতা ভালোবাসো আর আমি তোমাকে।
প্রয়োজন হলে নতুন করে
কবিতার ডিনামাইট আবিষ্কার করব।
সে নব‍্য ডিনামাইট গোটা বিশ্ব লন্ডভন্ড করে
খনির অতল গহবর থেকে বের করে আনবে
পৃথিবীর আদিমতম কবিতা।
রক্ত খুড়ে আনা লাল দিয়ে সে কবিতার প্রতিটি পঙতি
রাঙায়িত করে মনের ফ্রেমে বাঁধিয়ে
তোমায় উপহার দিব।
অতঃপর পৃথিবীর তাবৎ কবিকে কবিতার ছুড়ি দিয়ে,

খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে একে একে হত‍্যা করবো।
আর সকল কবির কবিতা লুন্ঠন করে
তোমার পথে থরে থরে সাজিয়ে রাখবো।
তুমি কবিতা স্পর্শ করতে করতে ক্লান্ত শ্রান্ত হয়ে যখন
গনগনে সূর্যের মতো
পড়ন্ত বিকেলের দিগন্তে এলিয়ে পড়বে,
তখন খুব আলতো হাতে,
আমি তোমার কবিতার দোলনায় দোল দিবো।
তুমি দোল খেতে খেতে তন্দ্রাচ্ছন্ন চোখে বিড়বিড় করে
কবিতার পঙতি আওড়াবে।
ঠিক তখনই আমি কবিতার হাওয়া বইয়ে দিয়ে
তোমাকে করবো সুশীতল।
ঘুমন্ত তুমি সজাগ হয়ে কবিতার সমুদ্রে অবগাহন করবে
পৃথিবীর সকল ভালোবাসার কবিতা
তোমাকে ঘিরে ব‍্যস্ত সময় কাটাবে,
তোমাকে নতুন কবিতার পোষাকে সাজাতে।
অসাধারন সব কবিতার সাজে সজ্জিত তুমি তখন
কবিতার কল্পলোকে কবিতার পাখা মেলে
সাদা মেঘের মতো ভেসে বেড়াবে।
আমি অপেক্ষায় থাকবো যতক্ষন না তুমি
কবিতার স্বর্গরাজ‍্য থেকে ফিরে আসো।
আমি তোমার জন‍্য সৃষ্টি থেকে ধ্বংস অবধি,
সব কবিতার ছন্দ মেখে নিস্পলক নেত্রে দাড়িয়ে থাকব
তোমার ছন্দের স্পর্শে আমি
শিহরিত, মুখরিত, উদ্ভাসিত আর প্রকম্পিত।
অতঃপর কবিতার মৃত‍্যুসুধা পান করে আমি,
নিজেকে বিসর্জন দিব তোমার ভালোবাসার বেদিতে।

 

এই লেখকের অন্যান্য লেখা



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top