সিডনী শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৪, ৬ই বৈশাখ ১৪৩১


শর্ত : অমিতাভ ভট্টাচার্য


প্রকাশিত:
১২ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২১:৪৯

আপডেট:
৩ অক্টোবর ২০২০ ২৩:২৫

 

সেল ফোনটা হঠাৎ ভাইব্রেট করতে শুরু করেছে। টেবিলের ওপরে রাখা মনিটরে চোখ থাকলেও সঞ্চারিণী বুঝতে পারে একটা ফোন এসেছে । তাকিয়ে দেখে।ফোনটা এসেছে একটা অচেনা নম্বর থেকে। সে ফোনটা ধরে  বলল, “হ্যালো, কে বলছেন?”

ওপার থেকে অচেনা গলায় উত্তর এলো, “আমি কি সঞ্চারিণীর সাথে কথা বলছি?” সঞ্চারিণী খানিকটা বিরক্ত হয়ে বলল, “আমিই সঞ্চারিণী। আপনি কে বলছেন?”

“আমি দেবদত্ত। জলপাইগুড়িতে বাড়ী। এখন বেঙ্গালুরুতে থাকি। আপনি আমার সাথে কথা বলতে চেয়েছিলেন, তাই ফোন করলাম” ছেলেটি প্রায় এক নিঃশ্বাসে  কথাগুলো বলে গেল।

সঞ্চারিণী সেল ফোনটা হাতে নিয়ে উঠে দাঁড়াতে দাঁড়াতে বলল, “একটু ধরুন, প্লীজ”। তারপর অফিসের বাইরে এসে বলল, “হ্যাঁ, আমি আপনার সাথে কথা বলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু কি ব্যাপারে কথা বলতে চেয়েছিলাম আপনি জানেন তো”?

ছেলেটি বলল, “না, আমাকে সেসব কিছুতো বলেনি”। তাই শুনে  সঞ্চারিণী একটু হেসে বলল, “ঠিক আছে আপনি জেনে নিন। আমি আপনাকে এই নাম্বারে সন্ধ্যে সাতটা নাগাদ ফোন করব”।     

সঞ্চারিণী বাবা-মার একমাত্র মেয়ে।উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়িতে বাড়ী। বাবা স্বল্প আয়ে, খুব যত্নে মেয়েকে লেখাপড়া শিখিয়েছেন। মেয়ে এমএ পাশ করার পর, বিয়ে দেবার কথা ভাবতে লাগলেন। দু’একজনকে মেয়ের জন্য পাত্র দেখার কথা বলতে মেয়ে বেঁকে বসল। সে এখন বিয়ে করবেনা। কিন্তু তা বলে কি বাবা-মা হাত গুটিয়ে বসে থাকতে পারে?ওর বাবার অফিসের এক ভদ্রলোক তার ছেলের জন্য পাত্রী খুঁজছেন। সঞ্চারিণী দেখতে খারাপ নয়; লেখাপড়াতেও খারাপ নয়। পরিবারটাও ভাল। তাই সঞ্চারিণীকে পুত্রবধূ করতে যতীনবাবু প্রায় প্রতি রবিবার সঞ্চারিণীদের বাড়ীতে আসতে লাগলেন।

যতীনবাবুর ছেলে কম্পিউটার ইঞ্জিনীয়র, বেঙ্গালুরুতে চাকরী করে।অনেক টাকা  মাইনে পায়। সঞ্চারিণী মা-র কাছে জানতে চায় তার বাবার বন্ধু তাদের বাড়িতে এত ঘন ঘন কেন আসেন।মা বললেন, “তোর বাবা রিটায়ার করার আগে তোর বিয়েটা দিয়ে যেতে চান। যতীনবাবুর ছেলেটা ভাল। তুই বিয়ে করতে আপত্তি করছিস কেন? তোর পছন্দের কেউ থাকলে বল। আর দেরী করলে বিয়ের বয়স চলে যাবে”। সঞ্চারিণী মা-র সামনে থেকে চলে যেতে যেতে বলল, “বিয়ের বয়স কখনো চলে যায় না মা। আমি আগে চাকরী করব, তারপর বিয়ে নিয়ে ভাববো। সামনে অনেকগুলো চাকরীর পরীক্ষা। আমাকে ডিস্টার্ব কোরোনা”।

সঞ্চারিণী ব্যাঙ্কে চাকরী পেল। জয়েন করতে হবে কোলকাতায়। অল্পবয়সী মেয়েকে কলকাতার মতো শহরে একা ছাড়তে চাইলেন না ওর মা। সঞ্চারিণী মাকে বুঝিয়ে পারে না যে, এখন আর আগের মত নেই। পেয়িং গেস্ট অ্যাকমডেশন বুক করা হয়ে গেছে। চিন্তার কিচ্ছু নেই। তবুও তার মা নিশ্চিন্ত হতে পারছেন না। ফোনে আত্মীয়দের সাথে যোগাযোগ করে তাদের খোঁজ-খবর নিয়ে জানাতে বললেন ঐ পেয়িং গেস্ট অ্যাকমডেশন সম্পর্কে। সব আত্মীয়রাই আপত্তি করেছিল সঞ্চারিণীর অন্য  জায়গায় থাকার ব্যাপারে। কিন্তু সঞ্চারিণী  রাজি হয়নি। প্রথমতঃ কোনদিন সে মা-বাবাকে ছেড়ে আত্মীয় স্বজনদের বাড়ীতে থাকে নি। তা  ছাড়া প্রয়োজনও তো তেমন নেই যে থাকতেই হবে সেখানে। তবু মা-র মন মানে না। একটা অভিভাবকহীন জায়গায় মেয়েকে একা রাখাটা কি ঠিক হবে?

নির্দিষ্ট  দিনে সঞ্চারিণী বাড়ী থেকে বার হবার আগে অসংখ্যবার ভগবানের নাম তার মায়ের মুখে শুনল। তার মা ভগবানকে অনুরোধ করছেন মেয়েকে  রক্ষা করার জন্য। তারপর মেয়ের কপালে চন্দনের ফোঁটা দিতে দিতে কেঁদে ফেললেন। সঞ্চারিণীর বাবা তাই দেখে হাসতে হাসতে বললেন, “বিয়ের পর তোর  চলে যাওয়ার সময় জলপাইগুড়িতে বন্যা হবে। এখন থেকে ডিজ্যাস্টার ম্যানেজমেন্টের বন্দোবস্ত করে রেখেছি”। সঞ্চারিণী বাবা-র কথা শুনে  হেসে  উঠল। সাথে সাথে ওর মা-ও হেসে উঠলেন। তারপর বললেন, “বিয়ের কথা বলাতে মনে পড়ে গেল। যতীনবাবুর সাথে কালই আপিসে গিয়ে কথা বোলো”।

নিউজলপাইগুড়ি ষ্টেশনে মেয়েকে ট্রেনে তুলে দিতে এলেন ওঁরা দুজনে। ট্রেন ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সঞ্চারিণী আবারও শুনতে পেল, অসংখ্য দেবদেবীদের কাছে ওর মায়ের একান্ত অনুরোধ, “মেয়েকে বিপদ থেকে রক্ষা কোরো”। ওর বাবা বলেন, বাইরের জগৎ সম্পর্কে কোন ধারনা না থাকলে সেই জগৎ সম্পর্কে  একটা ভাবনা হওয়া স্বাভাবিক। মনের দিক থেকে দুর্বল মানুষেরা সেখানে কি কি খারাপ ঘটতে পারে তার হিসেব কষতে কষতে মানসিক ভাবে আরও দুর্বল হয়ে পড়ে। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণের একমাত্র উপায় শক্তিশালী কারও ওপর নির্ভর করা। ফলে পরিচিত অপরিচিত যত দেব-দেবী আছেন, মানুষ তাঁদের শরণাপন্ন হয়।

ট্রেন চলতে শুরু করলে সঞ্চারিণী তার মা-বাবার দিকে হাত নাড়তে থাকে। ট্রেনের গতি আস্তে আস্তে বাড়ে। সঞ্চারিণী দেখতে পায় ওর মায়ের আঁচল হাতে উঠে এসেছে, এবার চোখের জল মুছবে। মা ভীষণ ভালবাসে ওকে। এক সময় বাবা-মা দৃষ্টির আড়ালে চলে যান। ব্যাগ থেকে রুমাল বের করে নিজের ভিজে ওঠা চোখ দুটো মুছে ফেলে তাড়াতাড়ি। ওর সামনে বসে থাকা বয়স্কা মহিলা সহযাত্রী মমতা মাখা চোখে ওকে দেখছিলেন। ঘণ্টা খানেক পর সঞ্চারিণী বাবা কে ফোন করে, ঠিক মত বাড়ীতে পৌঁছেছে কি না জানার জন্যে। তারপর টিফিন কেরিয়ারে মায়ের দেওয়া রাতের খাবার  শেষ করে।শুয়ে পড়ার আগে  বাবা-মাকে একবার ফোন করে নিশ্চিন্ত করে যে সব কিছু ঠিক আছে।

সকালবেলা শিয়ালদা ষ্টেশনে ট্রেন থেকে নেমে বাইরে যাবার সময় সঞ্চারিণী দেখতে পেল তার এক দূরসম্পর্কের জামাইবাবুকে। ওর দিকেই এগিয়ে আসছেন,সাথে কান এঁটো করা হাসি, “এইতো এসে গেছ। কোন অসুবিধে হয়নি তো?”  সঞ্চারিণী  বলল, “অসুবিধে কেন হবে? আর আপনিই বা এতো সকালে এলেন কেন? আপনি ফিরে যান। আমি একটা ট্যাক্সি ধরে চলে যেতে পারবো।”

জামাইবাবু শ্যালিকাকে একা ছেড়ে দিতে রাজী হলেন না। সঞ্চারিণী তাঁকে নিয়েই ট্যাক্সি করে কসবার দিকে গেল, যেখানে ওর পিজি অ্যাকমডেশন। ট্যাক্সিতে যেতে যেতে ফোন করে জানিয়ে দিলো যে ও কোলকাতায় এসে গেছে এবং আধ ঘণ্টার মধ্যে পৌঁছচ্ছে। পিজি অ্যাকমডেশনের সামনেই ট্যাক্সি এসে দাঁড়াল। ভাড়া মিটিয়ে ট্রলি ব্যাগ ঠেলতে ঠেলতে বাড়ীর দরজায় এসে বেল বাজাল সঞ্চারিণী। একজন বয়স্কা ভদ্রমহিলা দরজা খুলে নাম জানতে চাইলেন।তারপর সঞ্চারিণীর কাছে কাগজ দেখতে চাইলেন। কাগজপত্র দেখে ওর জামাইবাবুর দিকে তাকিয়ে জানতে চাইলেন, “আপনি ওর কে হন?”উত্তর শোনার জন্য অপেক্ষা না করে উনি বললেন, “এখানে পুরুষদের প্রবেশ নিষেধ। আপনি ঐ গেটের সামনের চেয়ারে গিয়ে বসুন”। সঞ্চারিণীর অস্বস্তি হচ্ছিল ভদ্রমহিলা ওর জামাইবাবুর সাথে এই রকম ব্যাবহার করলেন দেখে। একটু ইতঃস্তত করে বলল, “আপনি বাড়ী চলে যান। দিদিকে বলবেন সব কিছু ঠিকঠাক আছে”।  

সঞ্চারিণী ওর জন্যে নির্দিষ্ট করে রাখা ঘরে এসে ঢুকল। বেশ পরিষ্কার  পরিচ্ছন্ন। ফোন করল মাকে। ঠিকমত ঠিক জায়গায় পৌঁছে গেছে শুনে ওর মা তাঁর ভগবানদের সম্ভবত ধন্যবাদ দিলেন ভেবে সঞ্চারিণী মনে মনে একটু হেসে নিল। তারপর অফিস যাবার জন্য আস্তে আস্তে তৈরী হতে লাগলো।    

অফিসে প্রথম দিন আজ ওর।সবার সাথে পরিচয় পর্ব সেরে, ওর জন্যে নির্দিষ্ট বসার জায়গায় নিয়ে এলেন ব্যাঙ্কের ম্যানেজার। আর ঠিক তখনই মায়ের ফোন, “সব ঠিক আছে তো? খেয়েছিস কিছু? কি খেলি?”  উৎকণ্ঠিত মা সবকটি প্রশ্ন প্রায় একসাথেই করে ফেললেন। সঞ্চারিণী সংক্ষেপে উত্তর দিলো, “সব ঠিক আছে। এখন আর ফোন কোরোনা। অফিসের কাজ শেষ হলে আমি তোমাকে সব কিছু জানাব”।

সঞ্চারিণী কলেজে ভর্তি হবার পর তার মায়ের ওপরে খুব রাগ করতো এই একটাই কারনে। প্রতি ঘণ্টায় ঘণ্টায় মার ফোন আসতো। ‘খাবার ঠিকমত খেয়েছিস?’ ‘কোন অসুবিধে হচ্ছে?’ কিন্তু আজ মার কাছ থেকে দূরে চলে আসার পর মা ফোন করে জানতে না চাইলে গলার কাছে একটা কষ্ট আটকে থাকে। তারপর মা-র ফোন এলে রাগ করে মাকে বলে, “এতো দেরী করলে কেন ফোন করতে?”

এইভাবে মা-মেয়ের মান-অভিমান রোজই চলতে থাকে। একদিন মা বললেন, “এবার তোর বাবাকে বলছি যতীনবাবুর সাথে কথা বলতে”। সঞ্চারিণী বলে, “এর মধ্যে হঠাৎ যতীনবাবু এলেন কোথা থেকে?” মা মেয়েকে মনে করিয়ে দেন তার কথা, “চাকরী করছিস দেখতে দেখতে এক বছর হতে চলল। আর তো দেরী করা যাবে না। তুই নিজেই বলেছিলি চাকরী না করে বিয়ের কথা ভাবছি না। তা ছাড়া সবাই বলাবলি করতে শুরু করেছে যে, চাকরী করা মেয়েকে বিয়ে না দিয়ে তার পয়সায় বিলাসিতা করছে”। সঞ্চারিণী হেসে ফেলে মায়ের কথায়। বলে, “আমাদের সমাজ তো তোমাকে আমাকে নিয়েই। কাউকেই ফেলে দিতে পারবে না। বরং চেষ্টা  করলে বদলাতে পারবে। তাই আমার কিছু বলার নেই মা, তোমার যা খুশি করো। তবে পাকা কথা বলার আগে আমি ছেলেটির সাথে একটু কথা বলতে চাই, তোমাকে জানিয়ে রাখলাম”-এই কথা বলে সঞ্চারিণী ফোনটা রেখে দেয়।

অফিসের এক সহকর্মীর সাথে সঞ্চারিণী একদিন শপিংমলে গিয়েছিল। জলপাইগুড়িতে থাকতে শপিংমলে কোনদিন যাওয়া হয়ে ওঠেনি। ঝাঁ-চকচকে শপিং মলে জিনিষপত্রের দাম কেমন হবে তা যাচাই করে দেখার মত দুঃসাহসও  দেখায়নি। ওর বাবার একার আয়ে সাংসারিক খরচ আর ওর পড়াশুনোর জন্য খরচ করার পর যা পড়ে থাকে তা দিয়ে বাজার থেকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রটুকুই কেনা যায়; শপিং করা যায়না। অফিসের সহকর্মীটি তাকে প্রথমে জামা-কাপড়ের দোকানে নিয়ে যায়। তারপর সাজ-গোজের জিনিষপত্রের দোকানে। সেদিন শপিং মল থেকে সঞ্চারিণী কিছুই কেনেনি।

দুপুরে দেবদত্তের ফোন আসার পর সঞ্চারিণীর মনে হল অফিসের পর সে শপিং মলে যাবে।সেখান থেকে পিজিতে ফিরে দেবদত্তকে ফোন করবে। অফিস থেকে বেরিয়ে সে একাই গেল শপিং মলে। আধ ঘণ্টা সেখানে ঘোরাফেরা করে ফিরে আসে পিজিতে। তারপর ফোন করে দেবদত্তকে। অপর প্রান্ত থেকে উত্তর এলো, “আমি আপনার ফোনের জন্যই  অপেক্ষা করছিলাম”। সঞ্চারিণী দেবদত্তর কাছে জানতে চাইল, “আমি কেন আপনার সাথে কথা বলতে চাইছি জেনে নিয়েছেন?”। দেবদত্ত তাকে জানায় যে তার বাবা-মা কারণটা জানেন না। সঞ্চারিণী গলাটা একটু পরিষ্কার করে, তারপর দেবদত্তকে বলল, “আপনার সাথে আমার বিয়ে হতে গেলে কয়েকটা  শর্ত আপনাকে মানতে হবে। যদি রাজী থাকেন তবেই আমি বাবা-মাকে জানাব। সঞ্চারিণীর এই শর্ত আরোপ দেবদত্তর পৌরুষে  লাগে। তবুও সে শান্ত গলায়  জানাল,“শর্তগুলো না জানলে, রাজী কি না জানাব কি করে?”

সঞ্চারিণী প্রথম  শর্ত হিসেবে জানায়, সে বিয়ের পর তার চাকরী আর বাবা-মাকে কোন অবস্থাতেই  ছেড়ে থাকতে পারবে না। অর্থাৎ দেবদত্তর সাথে বিয়ে  হলে সে বেঙ্গালুরুতে গিয়ে থাকতে পারবে না। আর দ্বিতীয় শর্ত হিসেবে  জানাল, “আপনার আর আমার বিয়ে হলে প্রথম পাঁচ বছরে আমাদের কোন সন্তান হবে না”। এই ধরনের কথা বার্তা সম্পর্কে দেবদত্তর কোন ধারণা নেই। তাছাড়া, শর্ত আরোপ করার কারণই বা কি?

সঞ্চারিণী বলল, “পাঁচ বছর যথেষ্ট সময় না হলেও একেবারে ফেলে দেবার মতো নয়। দুজনে একসাথে সারাজীবন কাটাতে পারবো কি না তার একটা ধারনা এই সময়ে তৈরী হয়ে যাবার কথা। দুজন দুজনকে পছন্দ করছি না, অথচ শরীরী আকর্ষণে বা ‘লোকে কি বলবে’ এই ভয়ে একসাথে থেকে সারা জীবন কাটানো  আমার পক্ষে সম্ভব নয়। ‘পুত্রার্থে ক্রিয়তে ভার্যা’শাস্ত্রের এই নিদানে আমি বিশ্বাসী নই। আমি মনে করি, সন্তান স্বামী-স্ত্রী উভয়ের ইচ্ছার ফসল। আপনি নিজে  ভেবে বা সবার সাথে পরামর্শ করে ঠিক করুন কি করবেন”।    

 পিজিতে এসে সঞ্চারিণী নিজেকে একটু হাল্কা বোধ করে। কিছুক্ষণ পর মা-র ফোন, “অফিস থেকে ফিরেছিস? কিছু খেয়েছিস তো?আর হ্যাঁ রে, দেবদত্তর সাথে কথা হয়েছে?” সঞ্চারিণী তার মাকে জানায় যে সে দেবদত্তকে দুটো শর্তের কথা বলেছে। দেবদত্ত রাজী হলে এই বিয়েতে তার কোন আপত্তি নেই।  

 

অমিতাভ ভট্টাচার্য
কোলকাতা, ভারত

 

এই লেখকের অন্যান্য লেখা



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top