সিডনী শনিবার, ২০শে এপ্রিল ২০২৪, ৬ই বৈশাখ ১৪৩১


বড়দের প্রতি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ভালবাসা : মুন্সি আব্দুল কাদির


প্রকাশিত:
১৩ আগস্ট ২০২০ ২১:০৯

আপডেট:
২০ আগস্ট ২০২০ ২৩:১২

 

আমরা উন্নতির সুউচ্চ যুগে বসবাস করছি। আল্লাহ তায়ালার অফুরন্ত নেয়ামত চারিদিকে ভরপুর। তাঁর দেওয়া নেয়ামতকে কাজে লাগিয়ে আরো কত প্রয়োজনীয় বস্তু বানাতে আমরা তৎপর এবং সফলও হচ্ছি। বিজ্ঞানের অনেক আবিস্কার আমাদের জীবন চলাকে সহজ করে দিয়েছে। তবে যতই উন্নত হচ্ছি, ততই যেন মানবিক মূল্যবোধের চরম ধ্বস নামছে। ছোটদের কান্নার আওয়াজে ঘরের কয়েকজন ছুটে গেলেও বৃদ্ধদের আর্তনাদে তার কাছে কেউ যাওয়ার কল্পনাই করি না। আজ আমার সাজানো সংসার এই বৃদ্ধ পিতা মাতার অবদান। তাদের জায়গা হচ্ছে বৃদ্ধশ্রম, অনাদর আর অবহেলায়। যারা আজ পাশ্চাত্যে বসবাস করছে, যারা সভ্য পৃথিবীর সভ্য নাগরিক বলে দাবি করে, তাদের কাছে পিতা মাতা অবহেলার পাত্র না কি গ্রামের সেই অশিক্ষিত কৃষক ছেলেটির কাছে।

বড়রা সমাজের মগজ আর যুবারা সমাজের হার্ট বা শক্তি, প্রান চাঞ্চল্য। একটির সাথে অপরটির গভীর সংযোগ রয়েছে। দুটোর বিচ্ছিন্নতা সমাজ জীবনে অশান্তির অমানিশা শুরু হয়। যত্র তত্র দাঙ্গা হাঙ্গামা, বিভেদ বিারাজমান থাকে। যুবা ও ছোটদের আবেগ আছে বিবেক ভোতা আবার বড়দের বিবেক শানিত আবেগ স্তিমিত। আবেগ বিবেক শক্তি মিলেই সমাজ দেহ বলিষ্ঠ আর হৃষ্ট পুষ্ট হতে থাকে। এই সমাজের শিরা উপশিরায় কখনো রক্ত জমাট বেধে রোগ সৃষ্টি করতে পারেনা। এই শরীরের হাত পা চোখ মুখ কান নাক হৃদয় সবায় যার যার দায়িত্ব পালনে ব্যস্ত থাকে। এই প্রবাহমান স্রোতে সামান্য পরিমান শেওলাও জমতে পারে না। এই নদীর প্রবাহ স্বচ্ছ ও পরিস্কার। একদিন এক বৃদ্ধ সাহাবী রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এলেন। অনেক সাহাবী সেখানে বসা ছিলেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে ঐ বৃদ্ধ সাহাবীর রাস্তা করে দিতে অন্যান্য সাহাবাগনের একটু দেরী হচ্ছিল। এই সময় ক্ষেপনকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ভাল ভাবে নেননি। তিনি বললেন, যে আমাদেও আমাদের ছোটদের স্নেহ করে না, বড়দের সম্মান করে না। সে আমাদের দলভুক্ত নয়। সুনাতে তিরমিজি। আবু দাউদের এক রেওয়ায়েতে আছে, যে আমাদের ছোটদের প্রতি রহম করে না। বড়দের হক বুঝে না সে আমাদের দলভুক্ত নয়।
ছোটদের প্রতি বড়দের স্নেহ মমতা, বড়দের প্রতি ছোটদের সম্মান ও শ্রদ্ধার এর চেয়ে কঠিন কথা আর কী হতে পারে। একটু ভাবনার বিষয় যে ব্যক্তি সমাজে বিশৃংখলা সৃষ্টি করে। সমাজের মানুষজন ত্যক্ত বিরক্ত হয়ে তাকে সামাজিকভাবে বয়কট করে। সে সমাজের সদস্যপদ হারায়। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছোটদের স্নেহ ও বড়দের সম্মানকে সামাজিক সদস্যপদ থাকার না থাকার সাথে জুড়ে দিয়েছেন। কোন সমাজ থেকে যখন এই দুটি গুন উঠে যায়। সেই সমাজে শান্তি থাকতে পারেনা। আর যারা এই গুনগুলো বর্জন করবে তাদের সামাজিক সদস্যপদ রহিত হয়ে যাবে। তারা মুসলিম সমাজের জন্য চরম ক্ষতিকর।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনো বৃদ্ধদেরকে নিজের কাজে ডেকে পাঠাতেন না। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে গিয়েই তাদের সাথে দেখা করতেন। মক্কা বিজয়ের সময় রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে হারামে প্রবেশ করলেন এমন সময় আবু বকর রাঃ তাঁর পিতা আবু কুহাফা কে নিয়ে হাজির হলেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে দেখে বললেন, তুমি বৃদ্ধকে বাড়িতে রাখলে না কেন? আমি নিজে গিয়েই দেখা করতাম। আবু বকর রাঃ জবাবে বললেন হে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আপনি তার কাছে যাওয়ার চাইতে তিনিই আপনার নিকট হেটে আসা সমীচীন মনে করি। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন তাকে আমার সামনে বসাও। আবু কুহাফাকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সামনে বসানো হলো। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার বুক মুছে দিলেন এবং বললেন, ইসলাম কবুল করুন। আবু কুহাফা ইসলাম গ্রহন করলেন। তার চুল ও দাড়ি সাদা হয়ে গিয়েছিল। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা কোন কিছু দিয়ে তার চুলের রঙের পরিবর্তন করে দাও।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালামের আদব সম্পর্কে বলেন, ছোটরা বড়দেরকে সালাম দেবে। হেটে যাওয়া ব্যক্তি বসে থাকা ব্যক্তিকে সালাম দেবে। অল্পসংখ্যক লোক বেশী সংখ্যক লোককে সালাম দেবে। প্রায় সকল কাজে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বড়দের প্রাধান্য দিতেন।

মানুষ বৃদ্ধ অবস্থায় সবচেয়ে অসহায়ত্ব বোধ করে। এই সময় তার দৃষ্টি শক্তি কমে যায়। গায়ে জোর থাকে না। কারো সাহায্য ছাড়া অনায়াসে চলতে পারে না। স্মরণ শক্তি কাজ করে না, মতি ভ্রম হয়। বোধ শক্তি বুদ্ধিমত্তায় তালগোল পাকিয়ে যায়। শারীরিক অক্ষমতা দেখা দেয়। একটু ভেবে দেখিতো এই সময়ে মানুষ সবচেয়ে বেশী অসহায়, না অন্য সময়ে। এই সময়ে তার সবচেয়ে বেশী সেবার প্রয়োজন, না অন্য সময়ে। এই সময়ে তাকে বেশী সময় দেওয়ার দরকার, না অন্য সময়ে।

আমরা যেভাবে আামদের সরকার প্রধানকে সম্মান করি। আলেমগনকে সম্মান করি। সমাজপতীদের সম্মান করি। তেমনিভাবে বরং তার চেয়েও বেশী বৃদ্ধদের সম্মান করা উচিত। এই পথ দেখিয়ে গেছেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। আবু মুছা আশয়ারী রাঃ থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে বৃদ্ধ মুসলিম, কোরআনের প্রতি সীমালঙ্ঘন করেনি কোরআনকে উপেক্ষা করেনি এমন কোরআনে ধারকগন এবং ন্যায়পরায়ন শাসককে সম্মান করা আল্লাহ তায়ালাকে সম্মান করার অন্তর্ভূক্ত। সুনানে আবু দাউদ।

আমরা যদি উপরোক্ত হাদিসখানার দিকে তাকাই। তাহলে দেখি আলেম, শাসকের আগে বৃদ্ধ লোকটি সম্মান পাওয়ার হকদার। মুসলিম শাসকগনও ছিলেন এই ক্ষেত্রে অনেক অগ্রগামী। ইবনে কাছির রাহঃ বর্ণনা করেন, হযরত তালহা ইবনে ওবায়দুল্লাহ রাঃ বলেন, প্রচন্ত আঁধার রাত। চারিদিক নিকশ কালো। আমি দেখলাম ওমর রাঃ একটি বাড়িতে প্রবেশ করছেন। আমি চিন্তা করতে থাকলাম। রাতে আর খবর নিলাম না। পরদিন সকালে আমি সেই বাড়িতে গিয়ে উপস্থিত হই। এই বাড়িতে কোন লোক নেই। দেখি একজন অন্ধ ও বৃদ্ধা লোক বসে আছেন। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম আপনার নিকট রাতে একজন লোক এসেছিলেন। তিনি কেন এসেছিলেন? বৃদ্ধা জবাব দিলেন, এই লোকটি প্রতি রাতে আমার নিকট আসে। প্রতিদিন রাতে এতো সময় ধরে আমার সেবা করে। একটু চিন্তা করে দেখিতো, অর্ধ জাহানের একজন বাদশা। যার দাপটে তৎকালীন দুই পরাশক্তি রোম পারস্য ভয়ে কম্পমান। এমন একজন বাদশা রাতের আধারে একজন অন্ধ বৃদ্ধা মহিলার সেবা করার জন্য লোক চক্ষুর আড়ালে ছুটে যান। কী তাদের আদর্শ। কী তাদের মাওলার নিকট চাওয়া।

আবু বাকরা রাঃ থেকে বর্ণিত, এক লোক রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে প্রশ্ন করলেন, হে আল্লাহর রাসুল, সর্বোক্তম লোক কে? রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জবাবে বললেন, যার বয়স বেশী এবং ভাল আমলের অধিকারী। আবার লোকটি জিজ্ঞাসা করলেন, সবচেয়ে মন্দ লোক কে? রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জবাবে বললেন, যার বয়স বেশী এবং সাথে সাথে আমলও মন্দ। আরো এক বর্ণনায় হুবহু একই ভাষায় বলা হয়েছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের মধ্যে সর্বোক্তম ঐ ব্যক্তি যে তোমাদের মধ্যে বয়োজৈষ্ঠ্য এবং ভাল আমলের অধিকারী।

আমার রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আদর্শ কতইনা সুন্দর আর উত্তম। যুদ্ধের ময়দানে শত্রু পক্ষের যে সকল বৃদ্ধ ব্যক্তি যুদ্ধে অংশ গ্রহন করবে না, যুদ্ধে শত্রুদের কোন সহযোগীতা করবে না এবং যুদ্ধে নিয়ে কোন পরামর্শ বা বুদ্ধি দিয়ে সহযোগীতা করবে না তাদের হত্যা করা যাবেনা। পৃথিবীর এমন কোন আদর্শ আর মতবাদ এনে হাজির করুনতো। এমন নজির আর কি একটাও কোথাও পাওয়া যাবে।

বড়দের প্রতি সম্মানের আরো উজ্জ্বল নমুনা দেখি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবা গনের মধ্যে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অল্প বয়স্ক সাহাবী সামুরা ইবনে জুনদুব (ওহুদ যুদ্ধে অংশ গ্রহনকারী সবেচেয়ে ছোট সাহাবী) বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জামানায় আমি বয়সে ছোট ছিলাম। আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতাম। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মজলিসে আমি কোন কথা বলতে পারতাম না। এর একমাত্র কারন ছিল এখানে অনেক লোক থাকতেন, যারা আমার চেয়ে বয়সে বড়।

সাহল ইবনে সাদ রাঃ থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিছু পানীয় নিসে আসলেন নিজে কিছুটা পান করলেন। বাকিটা অন্যদের দিতে চাইলেন। উপস্থিত লোকদের মধ্যে সবার ডানে একটি ছেলে ছিল। আর বৃদ্ধরা ছিলেন বাম দিকে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সুন্নাত হল কোন কিছু দিলে ডান দিক থেকে শুরু করতেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছেলেটিকে লক্ষ্য করে বললেন, তুমি কি আমাকে বড়দের আগে দেওয়ার অনুমতি দিবে। ছেলেটি জবাব দিল, না আল্লাহর শপথ হে আল্লাহর রাসুল। আপন্রা কাছ থেকে আমার পাওনাকে আমি অন্য কাউকে প্রাধান্য দেব না। এরপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছেলেটিকে পানীয়ের পাত্রটি দিলেন। এই হাদিসেও দেখা যায় রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বড়দের প্রাধান্য দেওয়ার চেষ্ট্ াকরেছিলেন।

এরকম অসংখ্য ঘটনা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জীবন, সাহাবাদের জীবন, তাবেয়ীদের জীবন, সব আল্লাহওয়ালাদের জীবন ভরপুর। আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাঃ এর ঘটনা। একদিন আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর এক মজলিজে উপস্থিত ছিলেন। উক্ত মজলিসে ওমর রাঃ এবং আবু বকর রাঃ ও উপস্থিত ছিলেন। এই মজলিসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সকলকে লক্ষ্য করে একটি প্রশ্ন করলেন। আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর এই প্রশ্নের উত্তর জানতেন। কিন্তু আবু বরক ও ওমর রাঃ এর সম্মানের দিকে চেয়ে তিনি কোন প্রশ্নের জবাব দানে বিরত থাকেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রশ্ন করেছিলেন যে, আমাকে এমন একটি গাছের নাম বল যার দৃষ্টান্ত হলো একজন মুসলিমের মত। যে প্রত্যেক মৌসুমে তার প্রতিপালকের নির্দেশ অনুযায়ী ফল দান করে। তার পাতা ঝরে পড়ে না। আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাঃ বলেন, আমার মনে হল এটা খেজুর গাছ। কিন্তু আমি উত্তর দেওয়াটা পছন্দ করলাম না । কারণ এখানে আবু বকরও ওমর রাঃ উপস্থিত। তাঁরা দুজন কোন জবাব দিলেন না। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলে দিলেন, এটা খেজুর গাছ। মজলিস শেষ হলে আমি আমার পিতার সাথে বের হলাম। তাঁকে আমি বললাম হে আমার পিতা আমি মনে মনে বুঝতে পেরেছিলাম যে এটা খেজুর গাছ। তিনি বললেন তাহলে কেন তুমি বললেনা। তুমি যদি জবাব দিয়ে দিতে তাহলে আমার নিকট এটা ওটার চেয়ে প্রিয় হত। আব্দুল্লাহ রাঃ জবাব দিলেন আমি আপনাকে এবং আবু বকর রাঃ কে কিছু বলতে না দেখে নিজে কিছু বলতে অপছন্দ করলাম। আর এটাই আমার জবাব না দেওয়ার কারন। এই ছিল সোনালী যুগের ইসলামের চিত্র। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই আদর্শই আমাদের জন্য রেখে গেরেছন। আমরা যদি মুসলিম সমাজের সদস্য হিসাবে থাকতে চাই। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উম্মত হিসাবে পরিচয় দিতে চাই। তাহলে অবশ্যই আমাদের বড়দের শ্রদ্ধা করতে হবে। নতুবা আমাদের মিল্লাতের সদস্য পদ হুমকির মধ্যে পড়বে।

 

এই লেখকের অন্যান্য লেখা

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top